মোংলা প্রতিনিধি: মোংলা উপজেলায় ঘেরে মাছ ধরার সময় জালে একটি কুমিরের বাচ্চা ধরা পড়েছে। পরে ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে সুন্দরবনের নদীতে অবমুক্ত করে বনবিভাগ।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাশতলা এলাকার হলদিবুনিয়া গ্রামের জালচিরা নামক স্থানের একটি ঘেরে মাছ ধরার সময় জালে আটকা পড়ে কুমিরের বাচ্চা। কুমিরটির বয়স এক বছরের বেশী হয়ে ছিল বলে বন বিভাগ জানিয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, “গত দুই বছরে আমরা লোকালয়ের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ১১টি কুমির উদ্ধার করেছি। পরে ওই কুমিরগুলোকে গহিন সুন্দরবনে নিয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কেবল সুন্দরবন এলাকাতেই প্রাকৃতিক পরিবেশে লোনা পানির কুমির দেখা যায়। লোনা পানির কুমিরের এই প্রজাতির প্রজনন বৃদ্ধি পাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এই প্রজাতির কুমির উঁচু জায়গায় ডিম পাড়ে এবং শুকনো ও উষ্ণ জায়গায় ডিমে তা দেয়। কিন্তু এখন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনের বেশিরভাগ এলাকায় নদীতে পলি জমে পানির স্তর ওপরে উঠে গেছে। ফলে বাচ্চা ফোটার জন্য প্রয়োজনীয় শুষ্ক ও উষ্ণ জায়গা পায় না এই জাতের কুমির।
মূলত ডিম পাড়ার উদ্দেশ্যে লোকালয় সংলগ্ন সুন্দরবনের উঁচু জায়গা বেছে নিচ্ছে মা কুমির। ওই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে কিছু কিছু বাচ্চা ওই এলাকার আশেপাশে থেকে যাচ্ছে। ফলে জোয়ার বা খাবারের খোঁজে বিভিন্ন ঘেরে ঢুকে পড়ছে কুমির।
পরে তা উদ্ধার হয় যোগ করেন আজাদ কবির।
সুন্দরবনে সর্বশেষ কুমিরের জরিপ করা হয়েছিল ২০১৯-২০ অর্থবছরে। সেই জরিপে সুন্দরবনে লোনাপানি প্রজাতির প্রায় দুইশ কুমির রয়েছে বলে দাবি করা হয়। ###
কাজী ওমর ফারুক, মোংলা
০১৭১১৪৮৩০৭২
০৬/০২/২৪ ইং
আপনার মতামত লিখুন :