দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিচয় দিয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করায় উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ও তার এক সহযোগী গণধোলাই দিয়ে পুলিশের সোপর্দ করেছে জনতা।
শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক ও তার সহযোগী মো. আপেলকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ ভুক্তভোগী চৈতু বর্মণ বাদী হয়ে আব্দুর রাজ্জাকসহ আটজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছে।
ছাত্রদলের জেলা কমিটি শুক্রবার আব্দুর রাজ্জাককে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. মতিউর রহমান জানান, আব্দুর রাজ্জাক কোতয়ালী থানার ওসি পরিচয়ে সদর উপজেলার ভাটানি (ঠাকুরবাড়ি) এলাকায় চৈতু বর্মণ ও তার ছেলে ইমন চন্দ্র বর্মণকে গত ৭ জানুয়ারি অপহরণ করে।
এরপর তাদের শেখপুরা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে মহেষ চন্দ্র নামের একজনের বাড়িতে আটকে রাখে। পরে তাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য একলাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা জোগাড়ের জন্য গত বুধবার চৈতু বর্মণ ও তার ছেলেকে ছেড়ে দেয় আসামিরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আব্দুর রাজ্জাক তার দলবল নিয়ে চৈতু বর্মণের বাড়িতে গিয়ে চাঁদার টাকা দাবি করে। এসময় গ্রামবাসী এগিয়ে এসে আব্দুর রাজ্জাকসহ মো. আপেল নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরিস্থিতি টের পায়ে সাত-আটজন পালিয়ে যায়।
আটক ওই ছাত্রদল নেতা সদর উপজেলার নহনা গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৫)। তিনি সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক। আটক অপরজন হলেন ছাত্রদলের কর্মী ও তার সহযোগী একই এলাকার শাহাদত হোসেনের ছেলে মো. আপেল (২২)।
দিনাজপুর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবুজার সেতু দিনাজপুর সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাককে বহিষ্কারের সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির একটি ঘটনা সত্য। ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে, তাই এ ধরনের দুষ্টকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি মতিউর রহমান জানান, আটককৃতদের আদালতে পাঠানোর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে নির্ধারিত এজাহারের প্রেক্ষিতেই তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :