রজনী ক্লিনিকে ভুয়া টেকনোলজিস্টের দৌরাত্ম্য,বিড়ি শ্রমিক থেকে সহকারী।


Milon Hossain প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৯, ২০২৫, ৬:৪২ অপরাহ্ন /
রজনী ক্লিনিকে ভুয়া টেকনোলজিস্টের দৌরাত্ম্য,বিড়ি শ্রমিক থেকে সহকারী।

মিলন হোসেন চীফ রিপোর্টার ,
বেনাপোলের রজনী ক্লিনিকে রক্ত পরীক্ষায় চাঞ্চল্যকর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ক্লিনিকটিতে কোনো স্বীকৃত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকলেও, আলিম নামে এক ব্যক্তি নিজেকে টেকনোলজিস্ট পরিচয়ে রক্ত পরীক্ষা ও রিপোর্ট প্রদান করছেন।

তদন্তে জানা গেছে, আলিমের কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান বা কারিগরি বোর্ডের ডিগ্রি নেই, এমনকি অরিজিনাল সার্টিফিকেটও নেই। তিনি দীর্ঘদিন ধরে একই সঙ্গে বেনাপোলের একাধিক ক্লিনিকে টেকনোলজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।

রজনী ক্লিনিকের ল্যাবে তাকে সহযোগিতা করছেন তারই স্ত্রী, যিনি আগে স্থানীয় একটি বিড়ি ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি নিজেকে ‘টেকনোলজিস্টের সহকারী’ পরিচয়ে রক্ত পরীক্ষার কাজে যুক্ত হয়েছেন।

গতকাল (বুধবার) এক রোগীর রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হয় হলুদ কাগজে, যা ক্লিনিকের অফিসিয়াল প্যাড নয়। নির্ধারিত ৮০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা আদায় করা হয় রোগীর কাছ থেকে। এতে রোগী ও স্বজনদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় রেজাউল অভিযোগ করে বলেন “রজনী ক্লিনিকের নামে বহুদিন ধরেই নানা অনিয়ম চলছে। এক জন বিড়ি বান্দা শ্রমিক কি ভাবে এই কাজ নিয়জিত থাকে। ও
ভুয়া সার্টিফিকেটধারীরা এখন মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছে এই রজনী ক্লিনিক।

এ ঘটনায় সাংবাদিক অনুসন্ধান শুরু করলে, রজনী ক্লিনিকের মালিক মোবাইল ফোনে সাংবাদিককে হুমকি দেন, ‘বেশি নাক গলালে দেখে নেওয়া হবে’ বলে সতর্ক করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহল ও সচেতন নাগরিকরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

উল্লেখ্য, রজনী ক্লিনিকের বিরুদ্ধে এর আগেও ভুল রিপোর্ট, অবৈধ ল্যাব পরিচালনা ও রোগীর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নজরদারি না থাকায়, এসব অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.তৌফিক পারভেজ জানান,বিড়ি শ্রমিক থেকে টেকনোলজিস্টের সহকারী বিষয়টি খুব দুঃখ জনক খতিয়ে দেখা হবে।