সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ডিসেম্বর মাসে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি


Desk News প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪, ৮:২৮ পূর্বাহ্ন /
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ডিসেম্বর মাসে ৫০ হাজার টন চাল আমদানি

জিয়াউল ইসলাম জিয়া :

দেশের প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠান
ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রেখেছে। শীর্ষ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ৩৫ হাজার ৬৬৮ টন চাল আমদানি করে।

দেশে চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি হচ্ছে। দেশের ৯২টি প্রতিষ্ঠান আমদানির অনুমতি পায়। প্রতিষ্ঠানগুলো ১৩ নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু করে। এরপর ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ৫০ হাজার ১৬১ টন বিভিন্ন প্রকারের চাল আমদানি হয়। তারপরও বাজারে কমেনি দাম। দাম না কমার পেছনে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দুষছেন।

কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ জানান, সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর থেকে ভারতের কলকাতার দূরত্ব কম হওয়ায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো এ বন্দর ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে পণ্য পরিবহনে খরচ সাশ্রয় হয়। প্রায় প্রতিদিনই আমদানি হচ্ছে বড় পরিমাপের চালের চালান।

ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু হাসান বলেন, ভোমরা বন্দর দিয়ে নিয়মিত চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাল আমদানি করছেন আমদানিকারকরা। তবে দেশের বাজারে ধানের দাম বৃদ্ধি ও স্থানীয় সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে চালের দাম কমছে না। এজন্য প্রশাসনের বাজার মনিটরিং করতে হবে।

এদিকে সুলতানপুর বড় বাজারে চাল কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে মাসিক আয়ের বড় অংশ খাবার কিনতে ব্যয় হচ্ছে।

স্কুল শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, শুনছি ভারত থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল আসছে। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রভাব নেই। চালের মূল্য এখনো অস্বাভাবিক। কোনো পরিবর্তনও দেখা যাচ্ছে না।

তবে বড় বাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যাসহ নানা কারণে ধানের উৎপাদন কম হওয়ায় চালের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে ধানের দাম বেশি। মিল মালিকরা চালের দাম না কমালে আমরাও কমাতে পারবো না। ভারত থেকে আমদানি করা চাল ৫০ টাকার ওপরে কেনা পড়ছে। তাহলে পরিবহনসহ নানা খরচ যুক্ত করে কত টাকায় বিক্রি করবো?

তিনি বলেন, বাজারে বর্তমানে যে পরিমাণ চাহিদা সে তুলনায় চালের আমদানিও কম। চালের মজুত না বাড়লে বাজারে দাম কমবে না।