মিলন হোসেন বেনাপোল,
বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নম্বর শেড থেকে পণ্য খালাশ নিয়ে ঘোষণা বর্হিভূত মেডিকেল ইকুভমেন্ট ও মেডিসিনের চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। পণ্য চালানটি বৃহস্পতিবার রাতে বন্দর থেকে বের হওয়া আহাদ পার্সেলের কাভার্ডভ্যান (যশোর ট-১১-৪৯২১) ট্রাক পণ্য সহ আটক করা হয়েছে।
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে একের পর এক শুল্ক ফাঁকির পণ্য চালান আটক হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবস্থাপনা ও শেড ইনচার্জদের কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। গতকাল বৃহষ্পতিবার (২ জানুয়ারী) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের বাঁশকল থেকে স্থলবন্দর হতে লোড হয়ে আসা আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই করা যশোর ট-১১-৪৯২১ ট্রাক জব্দ করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ঘোষণা বর্হিভ‚ত পণ্য চালান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার আবু সালেহ অব্দুন নূর জানান, কাস্টমস হতে ছাড় পাওয়া পণ্য চালানের সাথে ঘোষণা বর্হিভূত মেডিকেল ইকুপমেন্ট,সানগøাস,সার্জিকেল গুডস ও বিভিন্ন ধরনের হাইডোস মেডিসিন সহ পণ্য বোঝায় চালানটি আটক করা হয়েছে। আটককৃত পণ্য চালানের ইনভেন্টি চলছে পরবর্তীতে গণমাধ্যমকর্মীদের আটকের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র থেকে জানা যায়,ভারত হতে আমদানিকৃত ১২ টন ওজনের ২৩৫ প্যাকেজ পণ্য চালানটি আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টমস হতে ছাড় করান বেনাপোলের “মেসার্স আলতাফ এন্ড সন্স” নামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান। এ বিষয়ে জানতে বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নং শেড ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কাফির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সংযোগ না পাওয়াই বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার শরিফুল হাসান জানান, বেনাপোল বন্দরে পণ্য চালান প্রবেশ ও খালাস পক্রিয়া পর্যবেক্ষন করা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে ঘোষণা বর্হিভূত বিভিন্ন পণ্য প্রবেশ করাচ্ছে। এছাড়াও বন্দরের গেট ব্যবস্থাপণা দুর্বল। আমি নতুন এসেছি শুল্ক ফাঁকি রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাব। এছাড়া বন্দরে কন্টেইনার ব্যাবস্থাপনা চালু হলে রাজস্ব ফাঁকি কমবে বলে তিনি মতামত দেন।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যগার হতে খালাস নেওয়া পণ্য চালানে কিভাবে ঘোষণা বর্হিভ‚ত পণ্য ঢুকলো বা একাজে কারা জড়িত এমন প্রশ্ন?এখন জনমনে। স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন যাবৎ বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিতে ভারত থেকে বৈধ পণ্যর সাথে স্থল বন্দর অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে আমদানি নিশিদ্ধ ও অবৈধ পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে। আর এসব শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অসাধু আমদানি কারক ও সিঅ্যান্ড এফ সদস্যরা রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :