দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের একটি উড়োজাহাজ রোববার সকালে ১৭৫ যাত্রী, ৬ ক্রুসহ মোট ১৮১ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। পরে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। বাকিরা সবাই নিহত হয়েছেন। দেশটির ইতিহাসে এত বড় উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা এটাই প্রথম।
রোববার সকালে মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে যাত্রীবাহী উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাখির আঘাতে অথবা খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই দুর্ঘটনা হয়েছে। বিষয়টি এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আর ফ্লাইট ৭সি২২১৬-এর শেষ মিনিটে ঠিক কী ঘটেছিল, তা প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং ফায়ার কর্তৃপক্ষ।
এতে বলা হয়েছে, কোরিয়ার স্থানীয় সময় সকাল সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে মুয়ান বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল উড়োজাহাজটিকে রানওয়ে ০১-এ অবতরণের অনুমতি দেয়, যা উত্তরের ১০ ডিগ্রি পূর্বে অবস্থিত।
পরে সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল উড়োজাহাজটিকে ‘পাখির কার্যকলাপ’ রয়েছে বলে সতর্ক করে। দুই মিনিট পর ৮টা ৫৯ মিনিটে ফ্লাইটের পাইলট পাখির সঙ্গে উড়োজাহাজের সংঘর্ষের বিষয়ে রিপোর্ট করে। পরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ‘মেডে মেডে মেডে’ এবং ‘পাখি সংঘর্ষ, পাখির সংঘর্ষ, গো-এরাউন্ড’ বলা হয়।
এক মিনিট পরেই সকাল ৯টায় ফ্লাইটটি রানওয়ে ১৯-এ অবতরণের অনুমোদন চায়। ৯টা এক মিনিটে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রানওয়ে ১৯-এ অবতরণের অনুমোদন দেয়। পরে ৯টা দুই মিনিটে ফ্লাইটটি দুই হাজার ৮০০ মিটার রানওয়ের প্রায় এক হাজার ২০০ মিটার পয়েন্টে রানওয়ের সাথে যোগাযোগ করে।
সকাল ৯টা দুই মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল এয়ারপোর্ট ফায়ার রেসকিউ ইউনিটের “ক্র্যাশ বেল” সতর্ক করে। ৯টা দুই মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে বিমানবন্দরের ফায়ার রেসকিউ ইউনিট ফায়ার রেসকিউ সরঞ্জাম মোতায়েন সম্পন্ন করে। ৯টা ৩ মিনিটে ফ্লাইট ৭সি২২১৬ রানওয়ে ওভার-শুট করার পরে বাঁধের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়।
সূত্র: রয়টার্স।
আপনার মতামত লিখুন :