ঘোড়াঘাটে ফুলকপি ৫ ও বাঁধাকপি ১৫ টাকা দরে বিক্রি, লোকসানের মুখে চাষীরা


Desk News প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৩১, ২০২৪, ৮:২১ অপরাহ্ন /
ঘোড়াঘাটে ফুলকপি ৫ ও বাঁধাকপি ১৫ টাকা দরে বিক্রি, লোকসানের মুখে চাষীরা

ফাহিম হোসেন রিজু
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে প্রতি পিচ ফুলকপি ৫ টাকা ও বাঁধাকপি ১৫ টাকা দরে ক্রেতা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপির চাহিদা না থাকায় ও ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ জমির ফুলকপি ও বাঁধাকপি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে চাষিরা বলছেন, বাজারে দাম নেই, পাইকারি ব্যবসায়ীরাও আসছেনা। জমিতে নষ্ট হচ্ছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঘোড়াঘাট থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ উপজেলায় রবি মৌসুমে ফুলকপির আবাদ হয়েছে ৫০ হেক্টর, বাঁধাকপি আবাদ হয়েছে ৬৫ হেক্টর জমিতে।

উপজেলার রানীগঞ্জ, ওসমানপুর, ডুগডুগিহাট, বলগাড়ী ও ঘোড়াঘাট পৌরসভার বাগেরহাট ঘুরে দেখা গেছে হাট-বাজারে বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ভরা। মাঠে রয়েছে, করলা, টমেটো, বেগুন, আলু মিষ্টি কুমড়াসহ পর্যাপ্ত পরিমাণ সবজি। সবজির তুলনায় ক্রেতা কম। এতে অধিকাংশ কাঁচামাল নষ্ট হয়ে লোকসানে রয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এছাড়া সকল প্রকার সবজিতে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে।

উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের কয়েকজন সবজি বিক্রেতা জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেচাকেনা করতে হচ্ছে। বাজারে সবজির দামও কমেছে, ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে। এতে সবজি নষ্ট হচ্ছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ও চাষিদের।

উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের সবজি চাষী আহসান হাবীব জানান, এক বিঘা জমিতে ফুলকপির আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা, সঙ্গে রয়েছে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ। এখন এক বিঘা জমির ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এতে লাভ তো দুরের কথা, আমাদের প্রতি বিঘা জমিতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষী শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, সাফিউল ইসলাম বলেন, অনেক আশা নিয়ে ফুলকপি ও বাঁধাকপির আবাদ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। মাঠজুড়ে শুধু কপি দেখা যায়। একেকটি কপির ওজন হয়েছে এক থেকে দেড় কেজি। এখনও বিক্রি করতে পারিনি। জমিতে অনেক ফুল ফুটে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে ফুলকপি ৫ টাকা ও বাঁধাকপি ১৫ টাকা পিচ বিক্রি করতে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. রফিকুজ্জামান জানান, চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় ব্যাপকভাবে ফুলকপি ও বাঁধাকপির আবাদ হয়েছে। হঠাৎ করে বাজার দরপতন হয়েছে। এছাড়াও রবি মৌসুমে ৬০১ হেক্টর জমিতে শাক সবজি হয়েছে।