একদিনে আরও ৮ মৃত্যু, ৯৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি


Desk News প্রকাশের সময় : নভেম্বর ১৬, ২০২৪, ৮:৫৭ অপরাহ্ন /
একদিনে আরও ৮ মৃত্যু, ৯৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আটজন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৪০৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯৯৪ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫৯৫ জন ডেঙ্গুরোগী।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পাঁচজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের, দুজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ও একজন চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ২৩৬ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ১৪৮ জন রয়েছেন। এছাড়াও ঢাকা বিভাগে ২৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৫ জন, বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন, খুলনা বিভাগে ৭৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬১ জন, রংপুর বিভাগে ৬ জন এবং সিলেট বিভাগে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৭৮ হাজার ৫৯৫ জন। যাদের মধ্যে ৬৩ দশমিক ১০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৪০৭ জনের মধ্যে ৫০ দশমিক ১০ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৯০ শতাংশ পুরুষ।

প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার আটজন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান