মিলন হোসেন বেনাপোল,
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বেনাপোল পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বেনাপোল পৌরসভার পৌর বিয়ে বাড়ি সংলগ্ন বড় বলফিল্ড মাঠে আয়োজন করা হয় এক বিশাল উঠান বৈঠক। শুরু থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মীরা ছোট-বড় মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করতে থাকেন। মুহূর্তেই পুরো মাঠ পরিণত হয় জনতার ঢল নামা এক বিশাল মহাসমুদ্রে, যা শার্শা-বেনাপোলের স্মরণকালের সেরা এক জনসভায় রূপ নেয়। এক পর্যায়ে মাঠে জায়গা না পেয়ে মানুষ রাস্তার দুই পাশ, ফুটপাত, এমনকি আশেপাশের বাড়ির ছাদেও অবস্থান নেন—শুধু এক ঝলক দেখতে এবং আগামীর প্রত্যাশার প্রতীক বক্তব্য শোনার আশায়।
উক্ত উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকপ্রাপ্ত প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক। তিনি শুরুতেই অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে সংক্ষিপ্ত দোয়া প্রার্থনা করেন এবং দেশবাসীসহ উপস্থিত জনসাধারণকে দোয়ায় শরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে যদি জনগণ তাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করে, তিনি শার্শা-বেনাপোলকে আধুনিক, উন্নত, কর্মমুখী ও প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ অঞ্চলে রূপান্তর করবেন। তিনি দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, বেনাপোল–ঢাকা–যশোর সড়ক ও যোগাযোগব্যবস্থার আধুনিকায়ন, বন্ধ থাকা বেনাপোল টার্মিনাল পুনরায় চালু এবং বেনাপোল স্থলবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক বন্দরে পরিণত করার অঙ্গীকার করেন। এছাড়া কৃষকদের জন্য সুলভমূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ, আধুনিক কৃষিযন্ত্র সহজ শর্তে প্রদান, কোল্ড স্টোরেজ নির্মাণ, কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জরুরি সহায়তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি প্রাথমিক শিক্ষক সংকট দূর, বাধ্যতামূলক উপস্থিতি নিশ্চিত, টিফিন কর্মসূচি সম্প্রসারণ, প্রতিটি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল ক্লাসরুম, কম্পিউটার ও রোবোটিক্স–প্রোগ্রামিং শিক্ষা চালু, বিদ্যালয় অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদানের অঙ্গীকার করেন। যুবসমাজের জন্য তিনি কর্মমুখী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হাতে-কলমে বাস্তবমুখী শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষার বিস্তার এবং চাকরি পাওয়ার আগ পর্যন্ত বেকার ভাতার ব্যবস্থা করবেন। নারীদের জন্য উদ্যোক্তা সহায়তা, হস্তশিল্প, আইটি প্রশিক্ষণ ও নিরাপদ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা থানা ও যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফুল কবির সুমন, বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহসিন কবির, বেনাপোল পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দিন, শার্শা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলী বিশ্বাস ও তাজ উদ্দিন আহমেদ, শার্শা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বাবু, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, যশোর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ও শার্শা থানা যুবদলের সদস্য সচিব ইমদাদুল হক ইমদাদ, শার্শা থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আল মামুন বাবলু, যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ ও মুনতাসিম আজিম সাগর, শার্শা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান রিপন, যশোর জেলা কিশোরদলের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য আলমগীর হোসেন টিপু, যশোর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শাহানুর রহমান শাওন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ বিপ্লব মন্ডল ও ইনজামামুল হক, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান আতা, শার্শা থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব হোসেন ও জিয়াউর রহমান, বেনাপোল পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইসতিয়াক আহমেদ শাওন এবং সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তুহিনসহ শার্শা থানা ও বেনাপোল পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন ইউনিয়নের অসংখ্য নেতাকর্মী।
আপনার মতামত লিখুন :