পানামা খাল ব্যবহারের ফি কমাতে কিংবা একে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার অভিযোগ, মধ্য আমেরিকার দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ও অন্য নৌযান থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে।
গতকাল রবিবার অ্যারিজোনায় এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, পানামা যে ফি আদায় করছে, তা হাস্যকর, একেবারেই অন্যায্য। আমাদের দেশের সঙ্গে এই প্রতারণা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় শপথ নেয়ার সময় উল্লেখ করে ওই সমাবেশে কথা বলেন তিনি।
রক্ষণশীল অধিকারকর্মীদের একটি গ্রুপ- টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ- সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। এই গ্রুপটি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকে ব্যাপক সমর্থন যুগিয়েছে।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জের ধরে দ্রুত প্রতিক্রিয়া এসেছে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর কাছ থেকে। তিনি বলেছেন, এই খাল ও আশপাশের এলাকার প্রতি বর্গমিটার এলাকা তার দেশের, যুক্তরাষ্ট্রের নয়।
প্রেসিডেন্ট মুলিনো বলেছেন, ‘পানামার সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা কোন বিতর্কের বিষয় নয়।’
কোনো দেশের ভূখণ্ড নিয়ে নেয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নেতার এ ধরনের মন্তব্য নজিরবিহীন উদাহরণ। যদিও ট্রাম্প বলেননি যে, তিনি কীভাবে এটি করবেন। তবে এটি একটি ইঙ্গিত দেয় যে আগামী ২০ জানুয়ারি তার শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও কূটনীতির কেমন পরিবর্তন হতে পারে।
এর আগেই তিনি একই ধরনের আরেকটি পোস্ট করেছিলেন, সেখানে তিনি লিখেছিলেন যে পানামা খাল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ’।
গতকাল ওই পোস্টে ট্রাম্প লিখেছিলেন যে, নৌপরিবহন ফি কমানো না হলে ‘আমরা দ্রুতই সর্বাত্মক ও কোন প্রশ্ন ছাড়াই পানামা খাল ফিরিয়ে নেয়ার দাবি তুলব।’
৫১ মাইল বা ৮২ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খাল আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে এবং এটি বিশ্ব বাণিজ্যে মালামাল পরিবহনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানামা খালের কারণে দেশটির বিশাল ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। দুটো মহাসাগরকে যুক্ত করেছে এই খাল। এর ফলে বিশ্ব বাণিজ্যে পানামা খাল বড় ভূমিকা পালন করে।
আপনার মতামত লিখুন :