
মোংলা প্রতিনিধি
২০২১ সালের মোংলা পৌর নির্বাচন কেবল ভোটের লড়াই ছিল না; এটি ছিল মানুষের বিশ্বাস, সাহস ও নীতির এক পরীক্ষার মঞ্চ। টানা ১১ বছর উন্নয়ন ও সততার প্রতীক বিএনপির প্রার্থী জুলফিকার আলী তখন রাষ্ট্রযন্ত্রের নানা শাখার চাপে বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছিলেন। র্যাব, পুলিশ ও বিডিআর—সবই যেন তাঁর অগ্রযাত্রা থামাতে মাঠে নেমেছিল।
যদিও কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন ধরনের হিংসা, কেন্দ্র দখল ও সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছিল, জুলফিকার আলীর এজেন্টরা সাহস ও দলীয় আনুগত্যের সঙ্গে অবস্থান ধরে রেখেছিলেন। বিশেষ করে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কেন্দ্রে তিনি হামলার শিকার হলেও সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল।
জুলফিকার আলী মোংলা পৌরসভাকে দেশের প্রথম ডিজিটাল পৌরসভায় রূপান্তর করেছিলেন। এই সাফল্য, সততা ও দক্ষতার কারণে তিনি সাধারণ মানুষের মনে গভীর ছাপ রেখেছেন।
তিনি একজন রাজনীতিবিদই নন; সততা, নীতি ও সাহসিকতার প্রতীক হিসেবে তিনি দীর্ঘকাল ধরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঘেরদখল, দাঙ্গা বা হানাহানির কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। সৈরাচারী সরকারের পতনের পর অনেক নেতা পরিবর্তিত হলেও জুলফিকার আলীর স্বভাব, সততা ও নিষ্ঠা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে।
মোংলার মানুষ তাঁকে আজও নৈতিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে মনে করেন। অতীতের এই কর্মকাণ্ডই প্রমাণ করে যে, জুলফিকার আলী ছিলেন মোংলার ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল পৌর মেয়র।
আপনার মতামত লিখুন :