ঘোড়ঘাটে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে প্রধান শিক্ষকের হুমকি


Desk News প্রকাশের সময় : মার্চ ১১, ২০২৫, ৩:৪৬ অপরাহ্ন /
ঘোড়ঘাটে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে প্রধান শিক্ষকের হুমকি

ফাহিম হোসেন রিজু
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:

সংবাদ প্রকাশের জেরে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার প্রতিনিধি জাতীয় দৈনিক বাংলা প্রতিদিন পত্রিকার সাংবাদিক আতিক হাসান সুমন ও ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রতিনিধি দৈনিক তীতৃয় মাত্রা পত্রিকার সাংবাদিক ফাহিম হোসেন রিজু এবং ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রতিনিধি সাপ্তাহিক জয় ভিশন পত্রিকার সাংবাদিক মোফাজ্জল হোসেন সহ হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

শনিবার (০৮ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার রাণীগঞ্জ বাজার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় হুমকির কথা বলে। এ ঘটনায় ওই রাতে ঘোড়াঘাট প্রেসক্লাবের সকল সদস্য বৃন্দ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ প্রকাশ করেন।

অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের নাম সৈয়দ আখতারুজ্জামান।

তিনি উপজেলার রাণীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ানের সাতপাড়া গ্রামের সৈয়দ আনসার ফকিরের ছেলে।

জানা যায়, গত ৫ মার্চ ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক বাংলা প্রতিদিন পত্রিকায় ও দৈনিক তীতৃয় মাত্রা পত্রিকায় এবং সাপ্তাহিক জয় ভিশন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর জের ধরে গত ৮ই মার্চ রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক আতিক হাসান সুমন ও ফাহিম হোসেন রিজু এবং মোফাজ্জল হোসেনকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আখতারুজ্জামানের বিরুদ্ধে।

অপর দিকে ওই বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রাপ্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী লাবলি বেগমের স্বামী জয়নাল আবেদিন সাংবাদিক আজহারুল ইসলাম সাথীর নামে থানায় অভিযোগ করেন এবং মারার হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

জয়নাল আবেদিন উপজেলার সিংড়া ইউনিয়ানের নুরপুর গ্রামের আসান আলীর ছেলে।

শুধু তাই নয়, ফরহাদ কবির নামে একজন ব্যাক্তি ওই নিউজ প্রকাশের জেরে জাতীয় দৈনিক বাংলা প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক কে কল করে অকেজো ভাষায় গালি-গালাজ করে ও হুমকি দেন যার সম্পূর্ণ কল রেকর্ড ধারণ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফরহাদ কবির নামে ওই ব্যাক্তি, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়দ আখতারুজ্জামানের
দোসর।

এ ব্যাপারে আতিক হাসান সুমন বলেন, আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হুমকির শিকার হয়েছি।

ফাহিম হোসেন রিজু বলেন, আমি সত্যতা যাছাই-বাছাই করে নিউজ করেছি।

মোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি আগে ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করি পরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলি সবাই দুর্নীতির কথা বলে। এই জন্য আমি নিউজ প্রকাশ করেছি।

এই হুমকি শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত নয়, বরং গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ওপর সরাসরি আঘাত। আমি আমার পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। আমি আশা করি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনবে।
এ ঘটনায় উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন।

ঘোড়াঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক তিস্তা পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল গাফফার প্রধান ও প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের সময়ের প্রতিনিধি সেলিম রেজা বলেন, প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে সে বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রতিবাদ করার সুযোগ আছে। সে সুযোগ কাজে না লাগিয়ে গণমাধ্যমকর্মীকে ব্যক্তিগতভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া অপরাধ। সুমন,ফাহিম এবং মোফাজ্জল ভাইকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।